সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন 2019 এখন আসন্ন। নির্বাচনের এই মৌসমে এই দলিলটি কৃষকদের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। এটি এমন একটি আপীল যা প্রত্যেক নাগরিকের শুনা এবং ভাবা প্রয়োজন। শুধু ভারতীয় কৃষকদের ভবিষ্যতই নয়, সমগ্ৰ ভারতের ভবিষ্যৎও এখানে জড়িয়ে আছে।
কৃষকদের ম্যানিফেস্টোর পিডিএফ (PDF) ফাইল পড়ুন।
কৃষকদের স্বাধীনতার এই দাবিকে সমর্থন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
কৃষকদের এই ঘোষণাপত্রের বাংলা অনুবাদটি, মূল পয়েন্টগুলির সংক্ষিপ্তসার একটি খসড়া, যা আপডেট করা হবে। কৃষকদের মনিফেস্টোর সর্বশেষ সংস্করণের জন্য, অনুগ্রহ করে ইংরেজি সংস্করণটি পড়ুন।
Farmers’ Manifesto for Freedom 2019 (English PDF)
Hindi किसानों का घोषणापत्र: आज़ादी की मांग 2019 (हिंदी PDF)
Bengali কৃষকদের ঘোষণাপত্র: স্বাধীনতার দাবি 2019 (বাংলা PDF)
Gujarati ખેડૂતોનાસ્વતંત્રતામાટેખેડૂતનોજાહેરનામું 2019 (ગુજરાતી PDF)
Marathi शेतकरी स्वातंत्र्याचा जाहीरनामा 2019 (मराठी PDF)
Telugu స్వాతంత్ర్యం కోసం రైతుల మేనిఫెస్టో 2019 (తెలుగు PDF)
কৃষকদের ঘোষণাপত্র: স্বাধীনতার দাবি
ন্যায়বিচার, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে
ন্যায়বন্দি — ধনমুক্তি — ধন ওয়াপসি
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের সাত দশক পরেও আমাদের জনসংখ্যার বৃহত্তর অংশ কৃষক, এখনও নানা বিধিনিয়মের শৃঙ্খলে আবদ্ধ।
সম্পত্তির অধিকারের স্বীকৃতি
সমাজের অন্যান্য শ্রেণির তুলনায় কৃষকসম্প্রদায় সম্পত্তির অধিকারের লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত।
জমি:
জমিই হলো কৃষকের মূল সম্পদ, যদিও তাঁদের এই সম্পদের খুব দ্রুত অবমূল্যায়ন ঘটছে।জমি অধিগ্রহণের হুমকি, জমির ব্যবহার, লিজ বা ভাড়া দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ, জমির ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ, জমির কাগজপত্রের অভাব, কৃষিজমিতে বিনিয়োগের ঘাটতি এবং জমিসংক্রান্ত ব্যাপক দুর্নীতির ফলে এই অবমূল্যান দিন দিন বেড়েই চলেছে।উপজাতি গোষ্ঠীগুলি, যাঁরা আমাদের কৃষি উৎপাদনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাঁরা তাঁদের জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই আজো চালিয়ে যাচ্ছেন ।
কৃষি উৎপাদন:
যে সম্পদ কৃষকের শ্রমে গড়ে উঠে, হাজার বিধিনিষেধের ফলে তা দ্রুত গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে।ভ্রান্ত নীতি, সীমিত বাজার ও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক চাপের ফলে কৃষিজ আয় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রযুক্তি:
উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধিতে প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।প্রযুক্তি পরিবেশগত চাপ হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে।অথচ নতুন প্রযুক্তির দরজা সীমিত বা বন্ধ করা হচ্ছে, যা পরিবেশের উপর চাপ বাড়িয়ে দেওয়ার সাথে সাথে কৃষকদের ফসল বাড়ানোর সম্ভাবনাকেও হ্রাস করছে।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দাবি হিসেবে কৃষকেরা এই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে ও এ–ব্যাপারে নাগরিকদের মনোযোগ দেবার আবেদন জানিয়েছেন।সংকট কেবলমাত্র কৃষকেরই নয়, এই সংকট ভবিষ্যৎ ভারতেরও।
- ভারতীয় কৃষিব্যবস্থা হলো বৃহত্তর বেসরকারি ক্ষেত্র। কিন্তু কৃষক দারিদ্র্য এবং আইনি নানা জটিলতায় আবদ্ধ থাকার ফলে বাকি নাগরিকদেরও স্বাধীনতা ও সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
- এক দিকে সীমিত বাজারের ফলে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন,অন্য দিকে, ভোক্তাদের কৃষি উৎপাদনের জন্য একটি উচ্চ মূল্য দিতে হচ্ছে।
- নোটবন্দির ফলে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক ব্যক্তিগত সম্পত্তি উপর সরকারের হামলার প্রভাব কিছু না কিছু অনুভব করেছেন। কৃষকেরা কিন্তু অনেক বছর ধরে তাঁদের সম্পদের অবমূল্যায়নের ব্যাপারে একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিদিন। যার সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ হলো গো–সংরক্ষণের নামে কি ভাবে কৃষকদের নিজেদের গবাদিপশু বর্জন করতে বাধ্য করা হচ্ছে।এতে তাঁরা যে কেবল তাঁদের মূলধনই হারাচ্ছেন তা নয়, মাঠে তাঁদের নিদ্রাহীন রাতও কাটাতে হচ্ছে পরিত্যক্ত গবাদি পশুর অত্যাচার থেকে জমির ফসল রক্ষা করার জন্য।
অবিবেচকের মতো ভারতবর্ষের কৃষকের স্বাধীনতা ও অধিকার খর্ব করলে, ইন্ডিয়া কখনোই অগ্রগতি এবং উন্নতির পথে চলতে পারবে না।
কৃষকের স্বাধীনতার ১২ দফা দাবি
- প্রকৃত অর্থে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজ ছাড়া, কোনো বিশেষ সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের সুযোগ কঠোরভাবে সীমিত করতে হবে, এবং জমি অধিগ্রহণ করতে হলে কেবলমাত্র আক্রান্ত গোষ্ঠীগুলির সম্মতিক্রমেই করতে হবে;
- জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন তুলে দিতে হবে, এবং জমির ব্যবহার, ভাড়া, বা লিজ দেওয়া, অথবা জমি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা এবং চুক্তিচাষের বাধা অপসারিত করতে হবে;
- কৃষি উৎপাদন বিপণন কমিটি (APMC) এবং অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের বিলোপ ঘটিয়ে কৃষিতে অবাধ বাণিজ্য করার স্বাধীনতা কে স্বীকৃতি দিতে হবে;
- কৃষি পণ্য বাজারে ফিউচার ট্রেডিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে ব্যবসা চালু করতে হবে এবং বাণিজ্য করার পক্ষে অনুপযুক্ত, অপ্রচলিত এবং নির্বিচারহীন সীমাবদ্ধতা শেষ করতে হবে;
- জল এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ উপর সম্পত্তির অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে; এবং তাদের অনুকূল ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে সাহায্যর জন্য এই অধিকারগুলির উপর বাণিজ্য করার স্বাধীনতা দিতে হবে;
- তথ্য, প্রযুক্তি এবং কৌশলের পথ সহজতর করে, পরিবেশ সুরক্ষা আইন এবং জৈবপদার্থ স্তর নিরাপত্তা উপবিধির (biosafety regulations) পরিধি সীমিত করতে হবে;
- সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী সংস্থাগুলিকে গবেষণা করার অবাধিত সুযোগ এবং স্বাধীনতা দিতে হবে; কৃষকদের ক্ষমতায়ন করার জন্য এক্সটেনশন সেবাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করে সর্বশেষ তথ্য এবং প্রাসঙ্গিক জ্ঞান সর্বরাহ করতে হবে, যার ফলে কৃষকরা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হতে পারবেন;
- পরিবেশগতভাবে অনুকূল এবং সামাজিকভাবে উপকারী ক্রিয়াকলাপের জন্য উদ্দীপক প্রকল্প। অনেক সময় এই সব কাজ, যা কোন আর্থিক সুবিধা আনতে পারে না উপরন্তু যার ফলে কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়, সেইসব সেবা প্রদান এর জন্য কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;
-
স্থানীয় অর্থনৈতিক বিকাস ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের শিল্পের ও বিকেন্দ্রীভূত স্টোরেজ বিনিয়োগের পদ্ধতি সহজ করতে হবে যাতে করে আরও ভাল গ্রামীণ অবকাঠামো গড়া যায়;
-
উপজাতি ও অন্যান্য বনবাসী পরিবারগুলির জন্য বন এলাকায় জমি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে;
-
স্থানীয় স্তরে নাগরিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জমির মালিক কে বা কারা, ব্যবহারকারী কে বা কারা, এ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সহজে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নথিভুক্ত করতে হবে;
-
কৃষকের মৌলিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে বিচারবিভাগীয় পুনর্মূল্যায়ন সুনিশ্চিতের জন্য সংবিধানের নবম তফশীল রদ করতে হবে।
কৃষকদের স্বাধীনতার ডাকের ভিত্তি
এই স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়েছে তিনটি মৌলিক নীতির উপর ভিত্তি করে। যদিও এই মৌলিক নীতিগুলি কৃষি সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত, এইগুলি সমগ্র অর্থনীতির ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ননের জন্যও প্রাসঙ্গিক।
ন্যায়বন্দি
যদিও আইন দ্বারা বাঁধা, এবং দারিদ্র্য সত্ত্বেও, কৃষকরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে , যার ফলে ভারত দুর্ভিক্ষ থেকে এক খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে রূপান্তরিত হয়েছে গত পঞ্চাশ বছরে। কৃষকের সম্পত্তির উপর আইনকানুনের শৃঙ্খলমোচনের, ন্যায়বন্দীর দশা থেকে মুক্তি পাওযার, জন্য এই ডাক দেওয়া হচ্ছে। তাই জাতীয় স্বার্থে কৃষকদের জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করা এবং তাহাদের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
ধন মুক্তি
ন্যায়বন্দী হয়ে থাকার ফলে কার্যকরভাবে কৃষকরা তাদের নিজস্ব সম্পদকে পুঁজিতে পরিণত (capitalise) করতে পারে না, কৃষকদের মধ্যে দারিদ্র্যের এটা একটা প্রধান কারণ।ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করলে, আইন দ্বারা আবদ্ধ হয়ে না থাকলে, কৃষকরা তাদের জমি, ক্ষেতর ফসল ও অন্যান্য সম্পদের সঠিক মূল্য নির্ণয় করতে সক্ষম হবে, যার মধ্যে তাদের নিজস্ব শ্রম এবং সময়ের দামকে ঠিক ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেবে। কৃষকদের সম্পদগুলিকে পুঁজিতে পরিণত করার পথ খুলে যাবে, আর বিনিয়োগ করা সহজ হয়ে যাবে, উৎপাদনশীলতা এবং বৃদ্ধি বাড়বে, তখন শান্তি ও সমৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হবে। এই ভাবে কৃষকদের নিজস্ব সম্পদে আটকে থাকা ধন মুক্তি পাবে।
ধন ওয়াপসি
এই স্বাধীনতার পরিবেশ কেবলমাত্র টিকে থাকতে পারে যখন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে তার মৌলিক কাজগুলির প্রতি—আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বিচার ব্যবস্থা সঠিকভাবে চালনা করা। কিন্তু গত অনেক বছর ধরে, ন্যায়বিচারের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার মানুষের বহু সম্পদ, তাদের জমি, প্রাকৃতিক সম্পদ ও শ্রমের উৎপাদন জোর করে কেড়ে নিয়েছে। এই সম্পত্তির জোরেই সরকার, ন্যায়বিচারকে স্থায়ীভাবে একপাশে সরিয়ে রেখে, মানুষের সম্পত্তির অধিকারগুলি কমিয়ে , জনগণের স্বাধীনতা হ্রাস করে, জনগণেরই উপর অপ্রয়োজনীয় ও অত্যাচারপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তাই, ধন ব্যাপসি, বা সরকারের বেশিরভাগ সম্পত্তিকে বাজার দরে বিক্রি করে সমস্ত টাকা যা আসলে জনগণেরই সম্পত্তি তা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবার জন্য আহঃবান জানাচ্ছে।
ব্যর্থ নীতিগুলো পুনর্জীবিত করার প্রচেষ্টা
আজকে, অত্যন্ত সমবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশে, দৃশ্যত মনে হতে পারে যে সব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে গেছে। তবুও কৃষি সম্পর্কিত পুরাতন নীতিগুলি পুনঃনির্মাণের ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক রাজনৈতিক ঐক্যমত্য দেখা যায়। তা সেটা যাই হোক না কেন, উচ্চতর এমএসপি (MSP), বৃহত্তর ভর্তুকি, বাণিজ্য উপর নিষেধাজ্ঞা, অথবা ঋণ মওকুফ। রাজনৈতিক ঐক্যমতের এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মৌলিক আয় সাহায্য (basic income support)। যদিও ফসলের দাম কম বিকৃত করবে, মৌলিক আয় সাহায্য শ্রম বাজার বিকৃত করবে এবং কৃষির খরচ বাড়াবে।এই ধরনের নীতিগুলির মাধ্যমে কৃষকদের উপর রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ বৃদ্ধি পায়, এবং কৃষকদের দুর্ভোগকে চিরস্থায়ী করা হয়।
স্বর্গীয় শারদ যোশী ছিলেন এমন একজন দূরদর্শী কৃষক নেতা, যিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কৃষকেরা সরকারের বিভ্রান্তিকর হস্তক্ষেপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ধরনের হস্তক্ষেপের ফলে বাজার বিকৃত হয়, খরচ বাড়ায়, ফসলের দামকে অস্থির এবং অনির্দেশ্য করা হয় এবং কৃষকদের আয় কমিয়ে দেয়। কৃষির উপর এ ধরনের গুরুতর প্রবিধান আরোপ করে, অনিবার্যভাবে কৃষকদের মাথায় ভারসাম্যহীন ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়।ঋণের বোঝা থেকে পরিত্রাণ পেতে কৃষকদের প্রতি শ্রী জোশী যে আহ্বান করেছিলেন, তার প্রধান কারণ ছিল এইসব প্রবিধান দ্বারা আরোপিত ব্যয় এর স্বীকৃতি হিসাবে।
অতএব, পুরোনো ব্যর্থ নীতিগুলিকে পূনর্জীবিত করে কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারের বিকল্প হতে পারে না। আমাদের কৃষকদের অগ্রগতি, মুনাফা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আরো অনেক মৌলিক ও ন্যায়সঙ্গত সমাধান প্রয়োজন। যার মধ্যে অন্যতম হলো কৃষকদের সম্পত্তির অধিকারকে সম্পূর্ণ ও সর্বতোভাবে ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সুরক্ষিত করা।
জয় হিন্দ
***
গঠনমূলক মন্তব্য এবং সমালোচনা সবসময়ে স্বাগত। লিখে পাঠান, ইমেইল:
admin@farmersmanifesto.info or FarmersManifesto@gmail.com
কৃষকদের স্বাধীনতার আহ্বানকে যারা স্বাগত জানিযেছেন, তাঁদের নামগুলি জানতে, এইখানে ক্লিক করুন।
আপনি যদি এই ম্যানিফেস্টোর ব্যাকগ্রাউন্ডটি পড়তে চান তবে এখানে ক্লিক করুন।